Saturday, January 21, 2012

আমার বিপন্ন স্বাধীনতা নীরবে-নিভৃতে কাঁদে...।

আমরা স্বাধীনতা...স্বাধীনতা বলে চিৎকার করি ,অথচ রাজনীতির মারপ্যাঁচে বিভক্ত করি আমাদের জাতিস্বত্বা , জাতীয় স্বার্থ, বিনষ্ট করি আমাদের জাতীয় ঐক্য, সংহতি ও সামগ্রিক ভবিষ্যৎ কল্যাণ । সামগ্রিক মুক্তি না আসা পর্যন্ত আমাদের স্বাধীনতা অরক্ষিত । ঘৃণা নয় , হিংসা নয়, বিভক্তি নয়, রাজনীতি নয়- চাই জাতীয় ঐক্য , চাই সামগ্রিক মুক্তি, চাই প্রকৃত স্বাধীনতা । আমাদের জীবন যেখানে প্রতিনিয়ত বিপন্ন অমানবিক হিংস্রতা ও নিরাপত্তাহীনতায় , দেশের ভেতরে কিংবা বাইরে- আমাদের দাঁড়াতে হবে মাথা উঁচু করে সামগ্রিক মুক্তির লক্ষ্যে - যাতে আমাদের ব্যক্তি ও সামগ্রিক স্বাধীনতা ব্যাহত না হয় । বারবার হিংস্র BSF (Border Security Forces) নির্যাতনের চিত্র কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় । আমরা নির্যাতিত প্রতিদিন , প্রতিনিয়ত , সেই সুদীর্ঘকাল ধরে- ভেতরে কিংবা বাইরে । সামগ্রিক মুক্তি ছাড়া আমাদের জীবন ও স্বাধীনতা বিপন্ন ঐ BSF নির্যাতিত অসহায় মানুষটার মত । অথচ আমরা স্বাধীনতা...স্বাধীনতা বলে চিৎকার করি, রাজনীতি করি... আর আমার বিপন্ন স্বাধীনতা নীরবে-নিভৃতে কাঁদে...।
...সত্যিই সেলুকাস...!
রাজনীতির ময়দানে আমরা যাই বলিনা কেন আমাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষার্থে ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত; বন্ধুপ্রতীম দেশ ভারত কর্তৃক সীমান্তে একের পর এক বাংলাদেশী হত্যা, পুশ-ইন,পুশ-ব্যাক আমরা আর নীরবে সহ্য করবনা । স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা আপোষহীন--এই বোধোদয়টুকু আমাদের রাজনীতিবিদদের হওয়া উচিত । শুধুমাত্র ভারতীয় কর্তাবাবুদের মনোরঞ্জনের নিমিত্তে বোবা সেজে থাকার দরুণ সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে থাকে আমার বোন ফেলানীর লাশ কিন্তু কেন ?
আমাদের অতীত ইতিহাস বলে দেয় শত্রু এলে অস্ত্র হাতে লড়তে জানি । সুতরাং আমরা আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও ভারতীয় ঘৃণ্য আচরণের মুখোশ খুলে ফেলবো । আমরা আমাদের অর্জিত স্বাধীনতাকে অরক্ষিত অবস্থায় দেখতে চাইনা; যা পরাধীনতার নামান্তর ।