Wednesday, October 14, 2015

"জগন্নাথপুরে দুই বিদেশী নাগরিকের উপর হামলা" শিরোনামে অনলাইনে প্রকাশিত ভিত্তিহীন সংবাদের প্রতিবাদ।

"জগন্নাথপুরে দুই বিদেশী নাগরিকের উপর হামলা" শিরোনামে অনলাইনে প্রকাশিত ভিত্তিহীন মিথ্যা রিপোর্টের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে ছিলিমপুর নিবাসী জনাব আখতার হোসেনের পরিবারের বিবৃতিঃ


✔ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ, অমিত দেব ও মোঃ শাহজাহান মিয়া সম্পাদিত কয়েকটি নিউজ ওয়েব পোর্টালে ১১ই অক্টোবর প্রকাশিত সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জগন্নাথপুরের ছিলিমপুর নিবাসী জনাব আখতার হোসেনের পরিবার। তারা বলেন, এ রিপোর্টটি সর্বৈব মিথ্যা। এ সম্পর্কে আমাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য হলো আমাদের বাদী শাহিদ মিয়া(৫৮) ও উনার স্ত্রী জান কি মিয়া(৫৬) এর সাথে ২০১৩ ইং থেকে ভূমি সংক্রান্ত স্বত্বমামলা কোর্টে বিচারাধীন। মহামান্য আদালতের রায় একের পর এক আমাদের পক্ষে থাকায় হিংসার বশবর্তী হয়ে আমাদের নিরীহ পরিবারকে ফাসানোর জন্য মধ্যযোগীয় কায়দায় জান কি মিয়া নিজেই নিজের উপর আঘাত হেনে জগন্নাথপুর থানায় সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে মামলা ঠুকে এক নোংরা খেলায় মেতে ওঠে। যার পরিপ্রেক্ষিতে থানা পুলিশ ১১ অক্টোবর দিবাগত রাত আনুমানিক সন্ধ্যা ৭.০০ ঘটিকায় কোন প্রকার তদন্ত ছাড়াই জনাব আখতার হোসেন (৪০) কে গ্রেফতার করে পরদিন দুপুরবেলায় সুনামগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করেন। চলতি মাসের শেষদিকে বিচারাধীন স্বত্বমামলায় যাতে আমাদের পরিবার সাক্ষ্য দিতে না পারে সেজন্য আমাদের পরিবারের সকলকে আসামী করে মামলা দিয়ে হয়রানীর এক অশুভ পায়তারা করে। সরেজমিন প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। জানা যায়, শাহিদ মিয়া ও তার স্ত্রী জান কি মিয়া প্রবাসী হওয়ার সুবিধে নিয়ে জনাব আখতার হোসেনের নিরীহ পরিবারকে তাদের সম্মানহানীর জন্য দীর্ঘদিন থেকে এলাকার চিহ্নিত অসাধু, অর্থলোভী জিতু মিয়া ড্রাইভার (৩৫), জালাল মিয়া (২৮) গংদেরকে অর্থের বিনিময়ে নিজ স্বার্থে এদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করে আসছে।

উল্লেখ্য যে, চলতি বছরের মার্চ মাসে শাহিদ মিয়া ও তার স্ত্রী জান কি মিয়া নিজেই নিজের পূর্বদিকের বাংলো ঘরে আগুন লাগিয়ে তাদেরকে ফাসানোর ষড়যন্ত্র করে। কিন্তু এলাকার জনগণের সচেতনতার দরুন তাদের অশুভ পরিকল্পনা নস্যাৎ হয়, যা দৈনিক সবুজ সিলেট সহ কয়েকটি পত্রিকান্তরে খবর প্রকাশিত হয়। এভাবেই একের পর এক মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলায় হয়রানীর শিকার গ্রামের এই নিরীহ, সম্মানিত পরিবারের সদস্যরা সুবিচারের প্রার্থনায় সরকারের আশুদৃষ্টি কামনা করেছেন।