সময় কত দ্রুত চলে যায়। এইতো সেদিন রাজধানী রিয়াদের পিচঢালা পথে হেঁটে বেড়িয়েছে আনমনে। জেদ্দায় এসেছি প্রায় সপ্তাহ খানেক দিন হয়ে গেলো। কিন্তু নগরটাকে তেমন করে ঘুরে দেখা হলোনা। ‘মক্কার প্রবেশদ্বার’ খ্যাত এই নগরীতে আধুনিকতা ও প্রাচীনতা চমৎকারভাবে মিশে আছে। অনেক ভবনেই রাজসিক নকশার উপস্থিতি পাওয়া যায়। আলোর প্রতিফলনে চকচকে কাঁচের দেয়াল, স্টিলের কাঠামো, বিভিন্ন রকমের বর্ণিল মার্বেল পাথরের স্থাপত্য, নকশাখচিত উজ্জ্বল অট্টালিকাসমূহ চলতি পথেই মুগ্ধ করে তোলে।
রুমে এক বড় ভাইকে লোহিত সাগরের কথা জিজ্ঞেস করায় তিনি জানান যে, এখান থেকে সমুদ্দুর খুব নিকটেই। দেখার অভিপ্রায় ব্যক্ত করতেই সাথে সাথে প্রস্তুত হওয়ার কথা বলেন। মিনিট পাঁচেকের মধ্যে তৈরি হয়ে মুছনা বাজার থেকে ট্যাক্সি ক্যাবে করে প্রায় পনেরো মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যাই লোহিত সাগরের তটে। সমুদ্রের বেলাভূমে দাঁড়িয়ে গোধূলি লগ্নে সূর্যাস্তের নয়নাভিরাম দৃশ্য সত্যিই সাহিত্যের আশ্রয়ে বর্ণনাতীত।
পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত সমুদ্র সৈকত। কর্মব্যস্ত জীবনের অবসরের মুহূর্তগুলোকে আনন্দময় করতে প্রিয়জনদের নিয়ে সাগর তীরে বসেছে মানুষের মিলনমেলা। আনন্দঘন এ মুহূর্তটাকে ক্যামেরায় বন্দী করতে অনেকেই ব্যস্ত। কী অপূর্ব উচ্ছল ঢেউ, পাথর-সিমেন্টে বাঁধাই করা পাড়ে বড় বড় পাথরের ওপর ঢেউ আছড়ে পড়ে, সফেদ জলকণা উড়ে এসে বৃষ্টির ছাঁটের মতো দর্শনার্থীদের ভিজিয়ে দেয়।
লোহিত সাগর (Red Sea) ভারত মহাসাগরের একটি অংশ, যা আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশকে পৃথক করেছে। সাগরটির দক্ষিণে বাব এল মান্দেব প্রণালী ও ইডেন উপসাগরের মাধ্যমে ভারত মহাসাগরের সাথে যুক্ত হয়েছে। সাগরটির উত্তরাংশে সিনাই উপদ্বীপ, আকাবা উপসাগর এবং সুয়েজ উপসাগর অবস্থিত। বাষ্পীভবন ও বায়ুপ্রবাহের ফলে উদ্ভূত জলপ্রবাহের বিন্যাসজনিত কারণে লোহিত সাগর বিশ্বের সবচেয়ে লবণাক্ত সাগরগুলির একটি। এই সাগরের লবণাক্ততা ৩.৬% থেকে ৩.৮%। লবণাক্ত এই সাগরের দৈর্ঘ্য ১৯০০ কিঃ মিঃ এবং সর্বাধিক ৩০০ কিঃ মিঃ প্রশস্ত। এর মোট আয়তন ১ লাখ ৭৪ হাজার বর্গকিলোমিটার। লোহিত সাগরের গড় গভীরতা প্রায় ৫০০ মিটার এবং সর্বোচ্চ গভীরতা ২,৫০০ মিটার।
আমার মনে হয় কখনও কখনও সমুদ্রের কাছে এলে মানুষের মন এলোমেলো হয়ে যায়। বিক্ষিপ্ত মনের অতলে তখন কতশত ভাবনা যে উঁকি দেয়। সমুদ্রের ঢেউ দেখে কেউ হয় রোমান্টিক, কেউ হয় নস্টালজিক, কেউ হয় কাব্যিক, কেউবা হয় আনন্দে আত্মহারা। সাগরতীরে এসে কেউ থাকে মধুচন্দ্রিমা মুডে, কেউ থাকে অবকাশ যাপন মুডে, আবার কেউবা স্মৃতির গহীনে হাতড়ে বেড়ায় পেছনে ফেলে আসা সময়গুলোকে। আর এই আমি সৃষ্টিকর্তার অপূর্ব সৃষ্টির সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে কৃতজ্ঞতায় বার বার আবেগাপ্লুত হচ্ছিলাম….
“সাগরের সৈকতে…. কে যেন দূর হতে…..
আমারে ডেকে ডেকে যায়…. আয় আয় আয়….
পারি না তবু যেতে…. শিকল বাঁধা এ দু’টি পায়….।”
মানুষের এক জীবনের পুরোটাই তো নিয়তির অমোঘ শেকলে বাঁধা। এই বাঁধন ছিন্ন করে কেউ কেউ বেরিয়ে আসতে পারে, আবার কেউ পারে না….।
আমি একাকী আনমনে...।
রুমে এক বড় ভাইকে লোহিত সাগরের কথা জিজ্ঞেস করায় তিনি জানান যে, এখান থেকে সমুদ্দুর খুব নিকটেই। দেখার অভিপ্রায় ব্যক্ত করতেই সাথে সাথে প্রস্তুত হওয়ার কথা বলেন। মিনিট পাঁচেকের মধ্যে তৈরি হয়ে মুছনা বাজার থেকে ট্যাক্সি ক্যাবে করে প্রায় পনেরো মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যাই লোহিত সাগরের তটে। সমুদ্রের বেলাভূমে দাঁড়িয়ে গোধূলি লগ্নে সূর্যাস্তের নয়নাভিরাম দৃশ্য সত্যিই সাহিত্যের আশ্রয়ে বর্ণনাতীত।
সূর্যাস্তের দৃশ্যপট।
লোহিত সাগরের উপকূল থেকে ধারণকৃত ভিডিও ক্লিপ।
লোহিত সাগর (Red Sea) ভারত মহাসাগরের একটি অংশ, যা আফ্রিকা ও এশিয়া মহাদেশকে পৃথক করেছে। সাগরটির দক্ষিণে বাব এল মান্দেব প্রণালী ও ইডেন উপসাগরের মাধ্যমে ভারত মহাসাগরের সাথে যুক্ত হয়েছে। সাগরটির উত্তরাংশে সিনাই উপদ্বীপ, আকাবা উপসাগর এবং সুয়েজ উপসাগর অবস্থিত। বাষ্পীভবন ও বায়ুপ্রবাহের ফলে উদ্ভূত জলপ্রবাহের বিন্যাসজনিত কারণে লোহিত সাগর বিশ্বের সবচেয়ে লবণাক্ত সাগরগুলির একটি। এই সাগরের লবণাক্ততা ৩.৬% থেকে ৩.৮%। লবণাক্ত এই সাগরের দৈর্ঘ্য ১৯০০ কিঃ মিঃ এবং সর্বাধিক ৩০০ কিঃ মিঃ প্রশস্ত। এর মোট আয়তন ১ লাখ ৭৪ হাজার বর্গকিলোমিটার। লোহিত সাগরের গড় গভীরতা প্রায় ৫০০ মিটার এবং সর্বোচ্চ গভীরতা ২,৫০০ মিটার।
লোহিত সাগরের তীরে অবস্থিত আর-রাহমাহ (ভাসমান) মসজিদটি স্থাপত্য শিল্পের অপূর্ব নিদর্শন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
আমার মনে হয় কখনও কখনও সমুদ্রের কাছে এলে মানুষের মন এলোমেলো হয়ে যায়। বিক্ষিপ্ত মনের অতলে তখন কতশত ভাবনা যে উঁকি দেয়। সমুদ্রের ঢেউ দেখে কেউ হয় রোমান্টিক, কেউ হয় নস্টালজিক, কেউ হয় কাব্যিক, কেউবা হয় আনন্দে আত্মহারা। সাগরতীরে এসে কেউ থাকে মধুচন্দ্রিমা মুডে, কেউ থাকে অবকাশ যাপন মুডে, আবার কেউবা স্মৃতির গহীনে হাতড়ে বেড়ায় পেছনে ফেলে আসা সময়গুলোকে। আর এই আমি সৃষ্টিকর্তার অপূর্ব সৃষ্টির সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে কৃতজ্ঞতায় বার বার আবেগাপ্লুত হচ্ছিলাম….
সমুদ্র তীরে সালাত আদায়ের জন্য এ রকম মাদুর বিছানো থাকে।
“সাগরের সৈকতে…. কে যেন দূর হতে…..
আমারে ডেকে ডেকে যায়…. আয় আয় আয়….
পারি না তবু যেতে…. শিকল বাঁধা এ দু’টি পায়….।”
মানুষের এক জীবনের পুরোটাই তো নিয়তির অমোঘ শেকলে বাঁধা। এই বাঁধন ছিন্ন করে কেউ কেউ বেরিয়ে আসতে পারে, আবার কেউ পারে না….।
No comments:
Post a Comment